সিলেট:: সিলেটের উপশহরের মাল্টিপ্ল্যান শাহজালাল সিটির হিজল টাওয়ারের ফ্ল্যাট মালিকদের ৮০ ভাগই প্রবাসি বলে দাবি করেছেন মাল্টিপ্ল্যান শাহজালাল সিটি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা। ‘ফ্ল্যাট মালিকদের কেউ প্রবাসী নয়’ মাল্টিপ্যান কর্তৃপক্ষের এমন দাবির একদিন পর মঙ্গলবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি করেন বিনিয়োগকারীরা।
নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার একটি হোটেলে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশরাফ হোসেন পাটোয়ারি উল্লেখ করেন, ১৬ বছরেও তারা ফ্ল্যাটের মালিকানার রেজিষ্ট্রেশন পাননি। উল্টো তাদের হাউজিং খাতসহ নানা খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মাল্টিপ্ল্যানের মালিক সৈয়দ মুনসিফ আলী মালিকদের সাথে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ এক বৈঠক সমঝোতাপত্র অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু আজও তা করেন নি তিনি। চুক্তিনামার ২৮ ধারা অনুযায়ী কোম্পানীর সকল দেনা পরিশোধের পর ফ্ল্যাট হস্তান্তরের কথা। অথচ এখন ব্যাংকের সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে ভবনে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৫ ফেব্রæয়ারি মাল্টিপ্ল্যানের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে সার্ভিস চার্জ প্রদান করলে রেজিস্ট্রিশেন করে দেওয়ার কথা জানান। এমনকি মনগড়া বক্তব্য তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্য বাস্তবের সাথে কোনো মিল নেই। দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে মাল্টিপ্ল্যান কর্তৃপক্ষ ফ্লাট মালিকদের দলিল রেজিস্ট্রি না করে উল্টো হুমকী দিচ্ছেন। তাদের ব্যবহারে মনে হচ্ছে দয়া করে তারা ফ্ল্যাট দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ৪১ জন প্রবাসী বিনিয়োগকারীর তালিকা প্রদান করে বলা হয়, প্রবাসীরা ঘাম ঝরানো টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। কারো ভাই বা বোন টাকা দিয়েছেন। সে অর্থে তারা সকলেই প্রবাসী। প্রবাসী উল্লেখ করে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছি কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, দেশে ও বিদেশে ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসীরা বিনিয়োগ করেছেন। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাল্টিপ্ল্যানের মালিক মুনসিফ আলীর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান মাল্টিপ্ল্যান শাহজালাল সিটি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী আতাউর রহমান কুনু, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, মজাহিদ আলী, রুহেল আহমদ, হালিমা বেগম চৌধুরী, আব্দুল কাদির, মাহাবুবুল আলম, দিদারুল আলম, বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।